ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নির্বাচনি বছর

সতর্ক পাহারায় আন্দোলনের মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখবে আওয়ামী লীগ 

সতর্ক পাহারায় আন্দোলনের মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখবে আওয়ামী লীগ 

ভোটের হাওয়া বইছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিরোধী শিবিরের থাকা রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলনের মাঠে নেমে পড়েছে। সারা বছর রাজনীতির মাঠে দেখা না গেলেও নির্বাচনি বছরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোও। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নতুন-নতুন জোট বেঁধে নির্বাচনি বছরে আন্দোলনের মাঠে নেমেছে বিএনপিসহ ডান ও বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন রয়েছে, সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চণ্ড১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। সব দলই অভিন্ন লক্ষ্যে রাজনীতির মাঠে নেমেছে। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি ও বিএনপির দেয়া ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নে ঐক্যমত পোষণ করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। মাঠের রাজনীতিতেই আওয়ামী লীগকে পর্যদুস্ত করতে চায় তারা। এদিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সর্তক পাহারায় কৌশলী অবস্থান নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিরোধী শিবিরের কর্মসূচিগুলোতে বাধা না দিয়েও আন্দোলনের মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রাখবে দলটি। এছাড়াও চলতি বছরে সরকারের উন্নয়ন-অর্জন দেশবাসীর কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি দলের সঙ্গে জনসম্পৃক্তরা বাড়াতে কাজ করবেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আসছে ১৬ জানুয়ারি বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের দিনও জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজপথে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ। এ কথা জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচি মানেই জনগণের উপর হামলা। জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নি সন্ত্রাস। জনগণের জানমাল রক্ষায় সর্তক পাহরার থাকবে আওয়ামী লীগ। সর্তক পাহারার মধ্য দিয়েই আমাদের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক, নির্বাচনী প্রচার ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে এবং আমরা নির্বাচনি অঙ্গিকার পূরণ করব। সর্তক পাহারার মধ্যে দিয়েই জনগণকে নির্বাচনমুখী করবে আওয়ামী লীগ। জনগণের আগ্রহের কারণে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, নির্বাচন ও সাংবিধানিক ধারার বিরোধীরা ভেসে যাবে। অপরাজনীতিকারীরাও জনগণের জাগরণে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। এরকম একটা পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর যারা আইনের ব্যত্যয় ঘটাবে, মানুষের বিরুদ্ধে দাড়াবে, জানমাল নষ্ট করবে, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ব্যবহার করবে, এসকল অপশক্তিকে আমরা প্রতিহত করব। পাশাপশি নির্র্বাচনী বছরে প্রন্তিক মানুষের কাছে আওয়ামী লীগ সরকারের আর্থসামাজিক উন্নয়ন-অজর্ন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির ভাগ্য পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরা হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে, সমৃদ্ধির পথে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ নিয়ে আমরা যে কাজ করছি, সে বিষয়েও জনগণকে অবগত করব। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের গতিপথে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবে।

এ বিষয়ে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে যে কেউ আন্দোলন করতে পারে। তবে আন্দোলনের নামে কেউ যদি মানুষের উপর আঘাত করে, গান পাউডার-প্রেটোল বোমা মেরে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা প্রতিরোধ করব। আমরা কাউকে আঘাত করতে চাই না, হামলা করতে চাই না। কেউ আঘাত করলে, হামলা করলে আমরা প্রতিরোধ করব। নির্বাচনী বছরে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব কাজ করেছে তা জনগণের কাছে তুলে ধরা। যেমন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, ১০০টি অর্থনৈতিক জোন, সীমান্তচুক্তি, সমুদ্র বিজয়, কর্ণফুলী টানেল, ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি খাতে বিশ্বের তৃতীয় অবস্থান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র মানুষকে জানানো। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা তা বাস্তবায়নে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা। আওয়ামী লীগের পক্ষে-নৌকার পক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করা। পাশাপাশি বিএনপির আমলে দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ না দিয়ে তারা লুটপাট করেছে, কৃষকে সার দিতে না পেরে গুলি করে হত্যা করেছে। দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল, দেশকে জঙ্গিবাদের রাজ্যে পরিণত করেছিল। বিএনপির আমলে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। এ বিষয়গুলো জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেয়া।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত